ঢাকা, রবিবার ৩০, মার্চ ২০২৫ ১৪:২৯:০০ পিএম

First woman affairs online newspaper of Bangladesh : Since 2012

Equality for all
Amin Jewellers Ltd. Gold & Diamond
শিরোনাম
মিয়ানমারে ভূমিকম্প: ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরোচ্ছে একের পর এক লাশ সুনামগঞ্জে যাত্রীবাহী নৌকাডুবি, নারী-শিশুসহ নিহত ৪ ঈদযাত্রায় সড়ক-নৌ-রেলপথে স্বস্তি মিয়ানমারে নিহত ১৬০০ ছাড়ালো, নিখোঁজ শতাধিক সৌদি আরবসহ ১১ দেশে আজ ঈদ গাজীপুরে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ, নারীসহ ৩ জনের প্রাণহানী চাঁদপুরের অর্ধশতাধিক গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন

এবার ঈদে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে যেসব পোশাক 

নিজস্ব প্রতিবেদক | উইমেননিউজ২৪

প্রকাশিত : ০১:১৪ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২৫ বুধবার

সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিপণি বিতানগুলোতে চলছে জমজমাট কেনাকাটা। বিশেষ করে নামীদামি ব্র্যান্ডের পোশাকের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ ও কেনার প্রবণতা বেশি।  তবে সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ঈদের কেনাকাটা করছে সবাই।  ঈদের সময় গরম থাকবে। সে কারণে শাড়ির মধ্যে সুতি শাড়ির প্রাধান্য দেখা গেল। শাড়ির জমিনে হাতের কাজ, মেশিনের কাজ, স্ক্রিন বা ব্লক প্রিন্ট, হ্যান্ড পেইন্টের মাধ্যমে ফুলপাতা আর জ্যামিতিক নকশা।

অন্য সময়ের মতো এবারও দেশি তাঁতে বোনা শাড়ি, জামদানি প্রিন্টের হাফ সিল্ক শাড়ি, সুতি শাড়ির প্রাধান্য থাকবে। হালকা সবুজ, আকাশি, ঘিয়ে, ধূসর, হালকা গোলাপি রং দেখা যাচ্ছে বেশি। এক হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকার মধ্যে ক্রেতারা পেয়ে যাবেন হাফ সিল্ক, তাতের শাড়ি। সিল্ক, মসলিন বা জর্জেটের শাড়িতে এমব্রয়ডারি, কাটওয়ার্ক, পুঁতি ও জরির কাজ করা শাড়িগুলো দেড় হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে পেয়ে যাবেন।

ঈদের কেনাকাটায় মেয়েদের পোশাকের চাহিদা বরাবরের মতোই বেশি। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ, বোরকা, কুর্তির প্রতি বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। পাশাপাশি শিশুদের পোশাকের বিক্রিও ভালো হচ্ছে। পুরুষদের পাঞ্জাবির দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ছেলেদের পোশাকের মধ্যে পাঞ্জাবিই সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনেক দোকানে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড় থাকায় ক্রেতারা সেই সুযোগ নিচ্ছেন।


শহরের নামকরা ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতেই ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বসুন্ধরা শপিংমলে আড়ং, এমব্রেলা, টুয়েলভ, জেন্টল পার্ক, আর্ট, ইনফিনিটি, রিচম্যান, স্টাইলিশ আবিয়া বোরকা, মনেরেখো শাড়িজ, শালিমার, আড়ন ক্লোথিং, নগর শাড়ি, বাটা, লোটো, এ্যাপেক্স, এমন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দোকানে ক্রেতাদের আনাগোনা বেশি দেখা গেছে।  

ক্রেতারা বলছেন, ব্র্যান্ডের পোশাক মানসম্মত ও টেকসই হওয়ায় তারা এগুলো কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন।  বর্তমান সময়ের সঙ্গে মিল রেখে পোশাক তৈরি করছেন।  যেটা বাজারে ক্রেতা বাড়াচ্ছে। 


বসুন্ধরা শপিংমলের আড়ন ক্লোথিং-এর রনি হোসেন বলেন, বেচা-বিক্রি খুব বেশি নেই।  আমাদের দোকান একটু পেছনে পড়ে যাওয়ায় বিক্রি করতে পারছি না।  তবে এখন মানুষের মধ্যে ব্র্যান্ডের চাহিদা বেশি। আমাদের এদিকে  ক্রেতা না থাকলেও ভেতরে দেখেন ব্র্যান্ডের দোকানে ভিড় লেগে আছে। 

ফেস-২ পাঞ্জাবি শোরুমের শিহাব আহমেদ বলেন, চাহিদা ভালো রয়েছে। পাঞ্জাবির চাহিদা এবার মানুষের মধ্যে বেশি। নারীরা আসছেন তাদের পছন্দের পুরুষের জন্য পাঞ্জাবি কিনতে। গতকাল রাত ১২টা পর্যন্ত খোলা রেখেছি দোকান। এখন দিন যাবে বিক্রি বাড়বে। ২০ রমজানের পর আরও বাড়বে আশা করছি। 

ইনফিনিটি শোরুমের কাওছার আহমেদ বলেন, বেচা-বিক্রি ভালো। ব্র্যান্ডের দোকানগুলোতে এমনিতেও চাপ থাকে ঈদ আসলে। এখন তো রমজান মাস চলে ঈদকে কেন্দ্র করে সবাই ব্র্যান্ডের জিনিস কিনতে আসছেন। ২০ রমজানের পর আরও বাড়বে। 

রিচম্যানের ম্যানেজার মেহেদী হাসান বলেন, দেশের পরিস্থিতিসহ সার্বিক অবস্থায় মার্কেটে ক্রেতা কম। ক্রেতা কম থাকায় ভিড় গত বছরের তুলনায় কম। আমাদের পণ্যগুলো আমাদের ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হয়। যার কারণে গুণেমানে অন্য সবার থেকে আলাদা ও টেকসই।

আড়ংয়ের কর্মচারী ফাহিম আহমেদ বলেন, মেয়েদের পোশাক আমাদের এখানে অন্যান্য পণ্যের তুলনায় বেশি বিক্রি হচ্ছে। ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেশি থাকে। দাঁড়ানোর মতো জায়গা পাওয়া মুশকিল ছিল গতকাল। আজকেই তুলনামূলক কম ভিড়। তবে আড়ংয়ের পণ্য সবার মধ্যে আলাদা ইমেজ তৈরি করে। 

ধানমন্ডি থেকে আসা আবিদুল ইসলাম বলেন, ব্র্যান্ডের পোশাকের কাপড়, সেলাই, বোতাম সবকিছুই ভালো থাকে। ফিটিংসও থাকে নিখুঁত। তাই দাম একটু বেশি হলেও আমি ব্র্যান্ডের পোশাকই কিনি।

ক্রেতারা বলছেন, ব্র্যান্ডের পোশাকের চাহিদা সবসময় থাকে। এগুলো নষ্ট হয় না সহজে। সেলাই, ফিটিংসহ যাবতীয় কাজ সুন্দরভাবে করা থাকে। এ ছাড়া এখন একটি ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে কেনা পোশাক। মানুষ সময় বাঁচাতে উন্নত মানের ব্র্যান্ডের দোকানগুলো থেকে পোশাক কিনেন। শুধু পোশাক নয়। যাবতীয় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার ক্ষেত্রে মানুষ এখন ব্র্যান্ডের কথা চিন্তা করে। কারণ বাইরের পণ্যগুলো ভাগ্যের ওপর। ভালো হলে ভালো না হলে কিছু করার থাকে না। আর ব্র্যান্ডের দোকান থেকে কিনলে পরিবর্তন করে দেন পছন্দ না হলে। মান নিয়েও থাকে না তেমন কোনো প্রশ্ন। নতুন কেউ কিছু কিনতে আসলেও ঠকার কোনো ভয় নেই। একদরের দোকান ব্র্যান্ডের। 

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারের পরিবর্তন, ভোক্তাদের আচরণ এবং প্রতিযোগিতার ওপর নির্ভর করে ব্র্যান্ডের চাহিদা। ব্র্যান্ডের চাহিদা বাড়ার কারণ হিসেবে রয়েছে মানসম্মত পণ্য, দীর্ঘমেয়াদি ব্র্যান্ড লয়্যালটি, শক্তিশালী মার্কেটিং ও বিজ্ঞাপন, ট্রেন্ড ধরতে পারা। এ ছাড়া বর্তমান সময়ে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন, ই-কমার্স এবং ডাটা-ড্রিভেন মার্কেটিংয়ের ফলে ব্র্যান্ডগুলোর চাহিদা বাড়ছে। যারা গ্রাহকদের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ তৈরি করতে পারছে এবং কাস্টমাইজড সেবা দিতে পারছে, তারা দ্রুত উন্নতি করছে।

ঈদের অন্যতম আকর্ষণ গয়না। গাউছিয়া, চাঁদনি চকের গয়নার বাজারে জার্মান সিলভার ও ভারতীয় গয়নার আধিক্য দেখা গেল।  রুপার ওপরে মিনাকারির কাজ, কৃত্রিম মুক্তা, পাথর দিয়ে সাজানো হচ্ছে গলার মালা, কানের দুল ও চুড়ি। আছে আয়না, কাপড় ও সুতার তৈরি গয়না। চাঁদনি চক ও গাউছিয়ার দোকানগুলোয় আজকাল মখমল লাগানো কাচের চুড়িও পাওয়া যাচ্ছে।